প্রশিক্ষণ কর্মসূচীঃ
প্রশিক্ষণ প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং সমাপ্তি- এই তিনটি ভাগে তাত্ত্বিক এবং ব্যবহারিক ক্লাসের মাধ্যমে সাজানো হয়েছে।
আমরা কী শেখাই?
সাধারণ ইলেকট্রনিক যন্ত্র, পাইপ ফিটিংস এবং ওয়েল্ডিং, ফ্রিজ এবং এয়ার কন্ডিশনারের কার্যবিধির উপরে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
প্রশিক্ষণের সময়কাল কতদিন?
তাত্ত্বিক ও ব্যাবহারিক ক্লাস মিলিয়ে তিন সপ্তাহে মোট ১৮৯ ঘন্টাতেই আমরা একটি সেশন শেষ করি।
প্রশিক্ষনে কোন পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়?
প্রশিক্ষনার্থীদের জন্য অত্যন্ত যোগ্যতাসম্পন্ন এবং সময়োপযোগী প্রশিক্ষকদের দল এবং পুরো ব্যাপারটির উপরে খেয়াল রাখার জন্য সুপারভাইজরস গ্রুপ ও প্রশিক্ষণ ব্যবস্থাপকদের প্রয়োজনীয়তার কথা ভেবেই প্রশিক্ষণকে সাপ্তাহিক প্রোগ্রামের ভেতরে আনা হয়েছে।
আমাদের শিক্ষক কারা?
আমাদের শিক্ষকগন উচ্চ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রকৌশলী এবং অত্যন্ত দক্ষ কিছু মানুষ, যারা প্রশিক্ষনার্থীদের জন্য প্রেরণা এবং উৎসাহপ্রদানকারী হিসেবে কাজ করেন।
আমরা কোন মাপকাঠিতে প্রশিক্ষনার্থীদের কর্মক্ষমতা নির্ধারন করি?
প্রত্যেকটি ধাপের পর, একজন প্রশিক্ষনার্থীকে পরবর্তী ধাপে যাওয়ার জন্য পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হবে। সর্বশেষ ধাপে এসে প্রত্যেকজন প্রশিক্ষনার্থীকে ‘সিমুলেশন টেস্ট’এর মাধ্যমে নিজেকে প্রমাণ করে এরপর চুরান্ত পরীক্ষায় বসতে হবে।
প্রশিক্ষণার্থীদের নিয়োগ:
কর্পোরেট অফিস এবং কেন্দ্রের নিয়োগদানকারী সেলে প্রশিক্ষনার্থীদের নিয়োগ দেওয়া হয়। নুন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা, শারীরিক গঠন এবং সুস্থতা এবং পূর্ব অভিজ্ঞতা ইত্যাদি একজন প্রশিক্ষনার্থীকে নিয়োগ দেওয়ার সময় দেখা হয়। নিয়োগ পাওয়ার পর, প্রত্যেকজন প্রশিক্ষনার্থীকে আগাগোড়া একটি ডাক্তারি পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। এরপর প্রশিক্ষণার্থীদের কর্মসূচির আওতায় কেন্দ্রে নিযুক্ত করা হয়। তাঁদের প্রত্যেককে নিরাপত্তার স্বার্থে কাজের পোশাক, নিরাপদ বুটজুতো, সান ক্যাপ এবং হেলমেট প্রদান করা হয়।
নারীদের জন্য ভবিষ্যৎ উদ্যোগসমূহঃ
বাংলাদেশের নারীদের উন্নয়নের কথা ভেবে আয়াত স্কিল ডেভেলপমেন্ট সেন্টার নিবিড়ভাবে এবং উদ্যমের সাথে কাজ করে চলেছে। নারীদের নিজেদের ব্যাক্তিগত সিদ্ধান্ত নিজে নেওয়ার ক্ষমতা অর্জন করার জন্য প্রয়োজন নারী ক্ষমতায়ন। লিঙ্গ বৈষম্যের কারনে এখনো বাংলাদেশের সমাজে নারীদের অবস্থান অনেক পেছনে। নারীদের সত্যিকার ক্ষমতায়নের জন্য পুরুষদের পাশাপাশি তাদেরকেও সমান অধিকার ও সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা উচিত। দেশে অর্ধেক জনসংখ্যা নারী। দেশের অর্ধেক শক্তিও তাই নারীরাই। নারীদেরকে মোটেই সমাজে দূর্বল লিঙ্গের অধিকারী হিসেবে বিবেচনা করা ঠিক নয়।এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হল নারীদের মধ্যে নেতৃত্বের গুণাবলী তৈরি করা, কারিগরী শিক্ষার প্রশিক্ষন দেওয়া এবং যতটা সম্ভব তাদের দক্ষতাকে উন্নত করা। যাতে করে বাজারের চাহিদা মিটিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারে নারীরা।